বিপিএল’র ১২তম আসরের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে রোববার। তার ঠিক আগমুহূর্তে দেশি ক্রিকেটারদের ড্রাফ্ট তালিকায় বড়সড় রদবদল এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত আসরের বিপিএল-এ ফিক্সিং ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সন্দেহের তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের বাদ দেয়ার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। এই তালিকায় সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে বাদ পড়েছেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয় ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কেবল তারা দু’জনই নন, ড্রাফটের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে আরও রয়েছেন- অভিজ্ঞ পেসার শফিউল ইসলাম, অলরাউন্ডার আলাউদ্দিন বাবু, স্পিনার সানজামুল ইসলাম, ওপেনার মিজানুর রহমান, নিহাদুজ্জামান ও মুনির হাসান খান। বিজয় দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন, জাতীয় দলের হয়ে ৭৭টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। খুলনায় জাতীয় লীগের ম্যাচ খেলাকালীন এই দুঃসংবাদ পেয়ে তিনি ঢাকায় ফিরছেন বলে জানা গেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি সংবাদমাধ্যমকে বিজয় বলেন, ‘এতদিন ধরে বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলছি না? বাংলাদেশের জন্য ক্রিকেট খেলছি না? এতটুকু সম্মান নেই? আপনি ধপ করে নিলাম থেকে বাদ দিয়ে দেবেন, এটা হতে পারে? নিলামে ক্যাটাগরি ‘বি’ থেকে ‘সি’তে নামিয়ে দিয়েছে। এটাই অসম্মানের। এখন নিলাম থেকেও বাদ। যেন আমি দোষী প্রমাণিত। আমাকে প্রমাণ দেখাক?’ তালিকায় থাকা আরেক উল্লেখযোগ্য নাম মোসাদ্দেক হোসেন, যিনি জাতীয় দলের নেতৃত্ব পর্যন্ত দিয়েছেন এবং ৮৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তিনিও ড্রাফ্ট থেকে নিজের নাম বাদ পড়ার কারণ জানতে চেয়ে বোর্ডের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দু’জনেই বোর্ডের কাছে ফিক্সিংয়ের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ চেয়েছেন এবং প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। নিজের হতাশা ব্যক্ত করে মোসাদ্দেক একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নিলাম থেকে নাম বাদ দিয়েছে শুনেছি। কেন বাদ দিয়েছে তা জানানো হয়নি। জানার জন্য বিসিবি’তে ফোন দিচ্ছি। কিন্তু দায়িত্ব্বশীল কেউ তো ফোনই ধরছে না, তাহলে আমরা কীভাবে জানবো কেন বাদ দিলো। বাদ দেওয়ার কারণ জানলে না হয় তারপর কথা বলতে পারবো।’ বিসিবি অবশ্য তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে পাঠানো চূড়ান্ত তালিকায় অভিযুক্ত এই ক্রিকেটারদের নাম রাখা হয়নি।
বিসিবি’র এই কঠোর অবস্থানের পেছনে রয়েছে গত বিপিএল আসর নিয়ে ওঠা ব্যাপক ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যের একটি স্বাধীন কমিটি গঠিত হয়েছিল। বিসিবি’র দুর্নীতি দমন বিভাগ বা ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের প্রধান অ্যালেক্স মার্শালের নেতৃত্বে দীর্ঘ তদন্ত শেষে কমিটি প্রায় ৯০০ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদনে গত আসরের বিভিন্ন সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য উঠে আসে। তদন্তে অন্তত ১৮ থেকে ১৯ জন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮ থেকে ১০ জনই পেশাদার ক্রিকেটার। তারা বিভিন্ন মাত্রায় ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলেন বা তাদের আচরণ সন্দেহজনক ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ক্রিকেটারদের ‘রেড ফ্ল্যাগ্থ জোনে রাখা হয়েছে এবং